২০২৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ইউনিটে(বিজ্ঞান বিভাগে) চান্সপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা !!

আলহামদুলিল্লাহ,এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ইউনিটে(বিজ্ঞান বিভাগে) সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে আমাদের তিনজন শিক্ষার্থী চান্স পেয়েছে। তিনজনকেই অভিনন্দন।

১.জোনাকি রানী দাস

মেরিট পজিশন(২১৫০)

কলেজ: সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ।

২.নিলুফা ইয়াসমিন নীলা

মেরিট পজিশন(৩২২৩)

কলেজ: সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ।

৩.হিমেল বর্মন

মেরিট পজিশন(৩৭৯০)

কলেজ: সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ।

অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকগুলোর পরীক্ষা ও ফল এখনও বাকি।আমার বিশ্বাস,এই তিনজন একাধিক জায়গায় চান্স পাবে।

আমি সবসময়েই বলি,স্বপ্ন,ইচ্ছা আর চেষ্টা থাকলে যেকোনো জায়গা থেকে ভালো ফল অর্জন করা সম্ভব।সুনামগঞ্জের প্রথম সারির(স্কুলের টপ বা মেধাবীরা-যে যেটাই বলুন) শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগই চলে যায় ঢাকায় বা সিলেটে।গুটি-কয়েকজন ছাড়া বেশিরভাগ মেধাবি শিক্ষার্থী বাইরে চলে যাওয়ায় খুব বেশি ভালো রেজাল্ট আনা সম্ভব হয় না সুনামগঞ্জে থেকে।মেধাবীদের যে কয়েকজন এখানে ভর্তি হয়,আমার পাঁচ বছরের অতীত অভিজ্ঞতা বলে, তাদের বেশিরভাগই চান্স পায় সুনামগঞ্জ থেকে। আমি মনে করি,সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে একজন শিক্ষার্থীও যদি সরকারি মেডিকেল বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালযে চান্স পায় তাহলে লজিক্যাললি যারা সিলেটে বা ঢাকায় যায় (এম.সি কলেজ,সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ) তাদের সবার চান্স পাওয়া উচিত।

কেননা তারা প্রত্যেকে, সুনামগঞ্জে যারা থাকে, তাদের চেয়ে একাডেমিক রেজাল্টে ভালো ছিলো।কিন্তু স্ট্যাটিসটিক্স বলে,তাদের সবার চান্স হয় না।

এখন পৃথিবী দ্রুত বদলাচ্ছে।মনের তীব্র ইচ্ছা থাকলে যেকোনো জায়গা থেকে ভালো কিছু করা সম্ভব।নিজেকে পরিশ্রম করতে হবে, হোক সেটা সিলেট,ঢাকা কিংবা সুনামগঞ্জ।

বলে রাখি,গত বছরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের চারজন ও সরকারি মেডিকেলে চারজনসহ মোট আটজন চান্স পেয়েছিল।জিসএসটি সহ সেটা ছিল ২০+।

এ বছর সরকারি মেডিকেলে একজন,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুনামগঞ্জ থেকে তিন ও সিলেট থেকে দুইজনসহ মোট পাঁচ জন চান্স পেয়েছে।

আমি মোটামোটি শিউরলি বলে দিতে পারি,যদি এস.এস.সি লেভেলের টপ বা ভালো স্টুডেন্সরা এইচ.এস.সি লেভেলে আমাদের কাছে আসে,আমাদের গাইডলাইনে যদি দেড় বছর থাকে,একজন শিক্ষার্থীও বাদ পড়বে না,কোনো না কোনো ভালো মেডিকেল বা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স হবেই।

জিএসটি রেজাল্ট আজকে দিবে।যে কয়েকজন বাদ পড়েছে,আশা করি, তাদেরও সবার হয়ে যাবে আজকে।

সর্বোপরি এই ক্রেডিট শিক্ষার্থীদের বেশি। তাদের ডেডিকেশনই তাদেরকে ভালো ফল এনে দিয়েছে।

তবে আমি আমার সহ-দুই শিক্ষক নিপু( সিলেট এম.এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ) ও #দেবাশিষ সাগরকে(এস.জি.সি) ধন্যবাদ জানাতে চাই এই সাফল্যের জন্য কারিগর হিসেবে কাজ করার জন্য।

সবার জন্য শুভকামনা রইল।
ছবিগুলো ২০২১ সালের।কলেজের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় ভালো করার জন্য পুরস্কৃত করেছিলাম তাদেরকে।

(তোমরা টেনশন কইরো না,এইবার আরো ভালো কিছু পাইবা)

#পোস্টদাতা: মাসুদ আহমদ অপু